ads

জেলা গোয়েন্দা শাখা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর অভিযানে ঘটনার ১৮ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, ঘটনার সাথে জড়িত ০২ জন আটক, পরকীয়া প্রেমে ব্যবহৃত মোবাইল উদ্ধার পূর্বক জব্দ।
গত ইং ১১/৫/২২ তারিখ সকাল অনুমান ০৮:০০ ঘটিকায় গোমস্তাপুর থানাধীন নজরপুর গ্রামস্থ আড্ডা রহনপুর মেইন রোডের পাশে ভিকটিম মোঃ নজরুল @ ইসলাম (৬০) এর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী গোমস্তাপুর থানা পুলিশকে জানালে গোমস্তাপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করত: মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় এর জন্য লাশের পোস্টমর্টেম এর জন্য আধুনিক সদর হাসপাতাল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এ প্রেরন করেন । পুলিশ সুপার জনাব এএইচএম আবদুর রকিব বিপিএম পিপিএম (বার) স্যারের দিক-নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর একটি টিম ঘটনার রহস্য উদঘাটন এর জন্য তদন্তে নামে । লাশের পাশে থাকা একটি প্লাস্টিকের দড়ির সূত্র ধরে ভিকটিমের ৩য় স্ত্রী লালবানু কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয় । অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোমস্তাপুর (সার্কেল) স্যারের নেতৃত্বে ভিকটিমের ৩য় স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে তার নিজ বাড়ীতে চা স্টল এর দোকান করত । সে সুবাদে বাড়ীর পাশের ইট ভাটার ম্যানেজার শাকির এর সাথে তার পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
 গত মার্চ মাসে শাকির এনায়েতপুর বাজার থেকে তার নিজ নামে রেজিষ্ট্রেশন কৃত একটি নতুন সিম কার্ড ও মোবাইল কিনে ভিকটিমের স্ত্রী লালবানু কে দেয়। এভাবে গোপনে চলতে থাকে লালবানু ও শাকিরের পরকীয়া প্রেম কাহিনী। ভিকটিমের অগোচরে তার স্ত্রী অতি গোপনে শুধুমাত্র ঐ মোবাইল দিয়ে শাকিরের সাথে কথা বলত এবং কথা বলা শেষে মোবাইল টি লুকিয়ে রাখত। কিছুদিন আগে ভিকটিম বিষয়টি টের পেলে তার স্ত্রীকে মারধর করে এবং প্রেমিক শাকির কে গালিগালাজ করে সাবধান করে দেয়। যার ফলশ্রুতিতে সাকির খুব রাগান্বিত হয় এবং ভিকটিমকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে । অপরদিকে ভিকটিম তার স্ত্রীকে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে প্রায় মারধর করত। যার ফলে ভিকটিমের স্ত্রী তার প্রেমিকের কথায় সহজে রাজী হয়ে যায় এবং ভিকটিমকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করতে থাকে । তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন রাতে ভিকটিম তার শয়ন ঘরে ঘুমিয়ে পড়লে ভিকটিমের স্ত্রী ও প্রেমিক শাকির রাত্রী ১১:০০ থেকে ১২:০০ ঘটিকার মধ্যে ভিকটিম কে বালিশের উপরে দেওয়া কাঁথা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে । ভিকটিমের দুই পা চেপে ধরে তার স্ত্রী এবং গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চত করে প্রেমিক শাকির । অতঃপর ঘটনার মোড় অন্য দিকে ধাবিত করতে লালবানু ও শাকির ভিকটিমের মরদেহ কাধে করে বাড়ি থেকে সামান্য দূরে রাস্তার পাশে রেখে আসে। ভিকটিমের স্ত্রীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী প্রেমিক শাকির কে আটক করা হয়। , পোস্টঃ জেলা পুলিশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ

Post a Comment

أحدث أقدم

Ads