একাদশ দ্বাদশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ১ম অধ্যায় বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত || জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তরসমূহ | hsc ict 1st chapter
১ম অধ্যায় : বিশ্ব ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিত || জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তরসমূহ
ডেটা বা উপাত্ত কী?
সুনির্দিষ্ট ফলাফল বা আউটপুট পাউয়ার জন্য প্রসেসিংয়ে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমুহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। অন্যভাবে বলা যায়- তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে বলা হয় উপাত্ত।
তথ্য কী?
তথ্য হল কোন প্রেক্ষিতে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো ডেটা যা অর্থবহ এবং ব্যবহারযোগ্য। অন্যভাবে বলা যায়- ডেটা প্রক্রিয়াকরণ পরবর্তী অর্থপূর্ণ রূপ হলো ইনফরমেশন বা তথ্য। তথ্য দ্বারা কোন ব্যক্তি বা বস্তু সম্পর্কে পুর্নাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়।
তথ্য প্রযুক্তি কী?
তথ্য সংগ্রহ, এর সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিকরন, পরিবহন, বিতরন ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে বলা হয় তথ্য প্রযুক্তি।
যোগাযোগপ্রযুক্তি কী?
একস্থান থেকে অন্য স্থানে নির্ভরযোগ্য ভাবে তথ্য আদান প্রদানে ব্যবহৃত প্রযুক্তিই হচ্ছে যোগাযোগ প্রযুক্তি । অন্যভাবে বলা যায়, ডেটা কমিউনিকেশন ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে যোগাযোগ প্রযুক্তি বলে। যেমনঃ টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি।
গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম কী?
বিশ্বগ্রাম হচ্ছে এমন একটি পরিবেশ যেখানে পৃথিবীর সকল মানুষ একটি একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যেমে একে অপরকে সেবা প্রদান করে থাকে ।
ই-মেইল কী?
ই-মেইল হচ্ছে ইলেকট্রনিক মেইল । অর্থাৎ ইলেক্ট্রনিক যন্তপাতি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে নির্ভরযোগ্যভাবে বার্তা আদান-প্রদান করার পদ্ধতি হচ্ছে ই-মেইল।
ভিডিও কনফারেন্সিং কী?
বিভিন্ন ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থান করে ব্যক্তিবর্গ কমিউনিকেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও এর যুগপৎ উভমুখী স্থানান্তরের মাধ্যমে যোগাযোগ বা সভা কার্যক্রম পরিচালনা করার কৌশল হলো ভিডিও কনফারেন্সিং। স্কাইপী , ফেসবুক মেসেঞ্জার ইত্যাদির মাধ্যমে খুব সহজেই ভিডিও কনফারেন্সিং করা যায়।
টেলিকনফারেন্সিং কী?
বিভিন্ন ভৌগোলিক দূরত্বে অবস্থান করে টেলিকমিউনিকেশন যন্ত্রপাতি যেমন টেলিফোন, মোবাইল ইত্যাদি ব্যবহার করে সভা কার্যক্রম পরিচালনা করার কৌশল হলো টেলিকনফারেন্সিং।
আউটসোর্সিং কী?
কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ নিজেরা না করে তৃতীয় কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে করিয়ে নেওয়াকে বলা হয় আউটসোর্সিং।
ফ্রিল্যান্সিং কী?
কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি না করে, স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং।
দূরশিক্ষণ বা ডিসটেন্স লার্নিং বা ই-লার্নিং কী?
শিক্ষা গ্রহনের জন্য কোন শিক্ষার্থীকে গ্রাম থেকে শহরে কিংবা একদেশ থেকে অন্য দেশে যেতে হয় না। অপরদিকে শিক্ষকও ঘরে বসেই শিক্ষা দান করতে পারে। এমনকি একজন শিক্ষার্থী অনলাইনেই পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে যাচাই করতে পারে এবং ঘরে বসেই ফলাফল দেখতে পারে। এতে সময়, অর্থ, পরিশ্রম সাশ্রয় হয়। এই ধারণাকে বলা হয় দূরশিক্ষণ বা ডিসটেন্স লার্নিং বা ই-লার্নিং।
টেলিমেডিসিন কী?
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোন ভৌগলিক ভিন্ন দূরত্বে অবস্থানরত রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক , রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক ইত্যাদির সমন্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে টেলিমেডিসিন বলা হয়।
অফিস অটোমেশন কী?
তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে অফিসের সার্বিক কার্যক্রমের (প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরি ও সংরক্ষন, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে অভ্যন্তরীন ও বহিঃযোগাযোগ ইত্যাদি) বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ তথা বাস্তবায়ন কার্যক্রম দক্ষতার সাথে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা যায়। এই ধরণের প্রযুক্তি নির্ভর কার্যক্রমকে বলা হয় অফিস অটোমেশন।
স্মার্ট হোম বা হোম অটোমেশন কী?
স্মার্ট হোম এমন একটি বাসস্থান যেখানে রিমোট কন্ট্রোলিং এর সাহায্যে যেকোনো স্থান থেকে কোন বাড়ির সিকিউরিটি কন্ট্রোল সিস্টেম, হিটিং সিস্টেম, কুলিং সিস্টেম, লাইটিং সিস্টেম, বিনোদন সিস্টেমসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। স্মার্ট হোমকে হোম অটোমেশন সিস্টেমও বলা হয়।
ই-কমার্স কী?
ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স একটি বাণিজ্য ক্ষেত্র যেখানে ইন্টারনেট বা অন্য কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় বা লেনদেন হয়ে থাকে। কিছু ই-কমার্স প্লাটফর্ম এর উদাহরণ-
alibaba.com, amazon.com, daraz.com.bd rokomari.com ইত্যাদি। আধুনিক ইলেকট্রনিক কমার্স সাধারণত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কী?
হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সমন্বয়ে কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে কোন একটি পরিবেশ বা ঘটনার বাস্তবভিত্তিক বা ত্রিমাত্রিক চিত্রভিত্তিক রুপায়ন হল ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশকে এমনভাবে তৈরি ও উপস্থাপন করা হয়,যা ব্যবহারকারীর কাছে সত্য ও বাস্তব বলে মনে হয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী?
মানুষ যেভাবে চিন্তা ভাবনা করে, কৃত্তিম উপায়ে যদি কোন যন্ত্রকে সেভাবে চিন্তা ভাবনা করানো যায়, তখন সেই যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তাকে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বলে।
রোবটিক্স কী?
প্রযুক্তির যে শাখায় রোবটের নকশা বা ডিজাইন, গঠন, পরিচালন প্রক্রিয়া, কাজ ও প্রয়োগক্ষেত্র সম্পর্কে আলোচনা করা হয়, সেই শাখাকে রোবোটিক্স বলা হয়।
রোবট কী?
রোবট হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এক ধরণের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা কোন ব্যক্তির নির্দেশে কাজ করতে পারে। এটি তৈরী হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিতে।
এক্সপার্ট সিস্টেম কী?
এক্সপার্ট সিস্টেম হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এমন একটি সিস্টেম যা মানুষের চিন্তা ভাবনা করার দক্ষতা এবং সমস্যা সমাধানের সক্ষমতাকে একত্রে ধারণ করে। যা মানব মস্তিস্কের মত পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সর্বোচ্চ সাফল্য লাভের উদ্দেশ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
ক্রায়োসার্জারি কী?
ক্রায়োসার্জারি হল এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে শরীরের অস্বাভাবিক বা রোগাক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করে। গ্রিক শব্দ ‘ক্রায়ো’ অর্থ বরফের মতো ঠাণ্ডা এবং ‘সার্জারি’ অর্থ হাতের কাজ। ক্রায়োসার্জারিকে অনেক সময় ক্রায়োথেরাপিও বলা হয়।
বায়োমেট্রিক্স কী?
বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা দ্বারা কোন ব্যক্তির গঠনগত এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা সনাক্ত করা হয়।
বায়োইনফরমেটিক্স কী?
বায়োইনফরমেটিক্স হলো বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে কম্পিউটার প্রযুক্তি, ইনফরমেশন থিওরি এবং গাণিতিক জ্ঞানকে ব্যবহার করে বায়োলজিক্যাল ডেটা এনালাইসিস করা হয়। বায়োইনফরমেটিক্সে যে সব ডেটা ব্যবহৃত হয় তা হলো ডিএনএ, জিন, এমিনো অ্যাসিড এবং নিউক্লিক অ্যাসিড ইত্যাদি।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কী?
কোন জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী DNA খন্ড পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-কে জেনেটিক মডিফিকেশন (genetic modification/manipulation-GM) ও বলা হয়।
ন্যানো টেকনোলজি কী? পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর বিজ্ঞানকে ন্যানো টেকনোলজি বলে।
প্লেজিয়ারিজম কী? কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন সাহিত্য, গবেষণা বা সম্পাদনা কর্ম হুবহু নকল বা আংশিক পরিবর্তন করে নিজের নামে প্রকাশ করাই হল প্লেজিয়ারিজম।
ফিশিং(Phishing)
কী?
ইন্টারনেট ব্যবস্থায় কোনো সুপ্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট সেজে প্রতারণার মাধ্যমে কারো কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ব্যবহারকারী নাম ও পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি সংগ্রহ করাকে ফিশিং বলে। প্রতারক তাদের শিকারকে কোনোভাবে ধোঁকা দিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। ঐ ওয়েবসাইটটি সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীর ইমেইল, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডের আসল ওয়েবসাইটের চেহারা নকল করে থাকে। ব্যবহারকারীরা সেটাকে আসল ওয়েবসাইট ভেবে নিজের তথ্য প্রদান করলে সেই তথ্য প্রতারকদের হাতে চলে যায়।
ভিশিং(Vishing)
কী?
মোবাইল, টেলিফোন, ইন্টারনেট ভিত্তিক বিভিন্ন ফোন বা অডিও ব্যবহার করে ফিশিং করাকে ভিশিং বা ভয়েস ফিশিং বলা হয়। যেমনঃ ফোনে লটারী বিজয়ের কথা বলে এবং টাকা পাঠানোর কথা বলে ব্যক্তিগত তথ্য নেওয়া।
স্পুফিং কী?
স্পুফিং শব্দের অর্থ হলো প্রতারনা করা, ধোঁকা দেওয়া। নেটওয়ার্ক সিকিউরিটির ক্ষেত্রে স্পুফিং হলো এমন একটি অবস্থা যেখানে কোন ব্যক্তি বা কোন একটি প্রোগ্রাম মিথ্যা বা ভুল তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে নেটওয়াকর্কে বিভ্রান্ত করে এবং এর সিকিউরিটি সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করে অনৈতিকভাবে সুবিধা আদায় করে।
হ্যাকিং কী?
সাধারণত হ্যাকিং একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কেউ কোন বৈধ অনুমতি ব্যতীত কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে। যারা হ্যাকিং করে তাদেরকে হ্যাকার বলা হয়।
ডিজিটাল কনভারজেন্স কী?
স্প্যামিং কী?
ই-মেইল একাউন্টে প্রায়ই কিছু কিছু অচেনা ও অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল পাওয়া যায় যা আমাদের বিরক্তি ঘটায়। এই ধরণের ই-মেইলকে সাধারণত স্প্যাম মেইল বলে। যখন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট কোন একটি ইমেইল অ্যাড্রেসে শতশত এমনকি লক্ষ লক্ষ মেইল প্রেরণের মাধ্যমে সার্ভারকে ব্যস্ত বা সার্ভারের পারফর্মেন্সের ক্ষতি করে বা মেমোরি দখল করে, তখন এই পদ্ধতিকে স্প্যামিং বলে।
সাইবারক্রাইম কী?
ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে যে সকল কম্পিউটার ক্রাইম সংঘটিত হয় তাদেরকে সাইবার ক্রাইম বলে।
প্রথম অধ্যায়: অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তরসমূহ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলতে কী বোঝায়?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে মানুষ কম্পিউটার, স্মার্ট ফোন ইত্যাদি যন্ত্রের মাধ্যমে ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত হয়ে ভার্চুয়াল কমিউনিটি তৈরি করে এবং ছবি , ভিডিও ও বিভিন্ন তথ্য শেয়ার করে থাকে। এছাড়া এসকল মাধ্যমগুলিতে মানুষ স্বাধীনভাবে মতামতও প্রকাশ করতে পারছে। অতীতে সামাজিক যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম ছিল চিঠি যার কারনে বিশ্ব সাহিত্যের বড় একটা অংশ দখল করে আছে পত্র সাহিত্য। কিন্তু বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগের জন্য বিশ্বগ্রামের নাগরিকরা ব্যবহার করে Facebook, Twitter ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট। বিশ্বগ্রাম নাগরিকের সামাজিক যোগাযোগের সফল মাধ্যমই হল ইন্টারনেট যুক্ত একটি কম্পিউটার ।
তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বই বিশ্বগ্রাম-ব্যাখ্যা কর।
বিশ্বগ্রাম হচ্ছে এমন একটি পরিবেশ যেখানে পৃথিবীর সকল মানুষ একটি একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যেমে একে অপরকে সেবা প্রদান করে থাকে। মার্শাল ম্যাকলুহান হচ্ছেন বিশ্বগ্রামের জনক। বিশ্বগ্রামের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে
অবস্থান করেও প্রত্যেকেই একে অপরের সাথে সহজেই খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারে। যা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়া সম্ভব নয়। তাই বলা যায়- তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্বই বিশ্বগ্রাম।
ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে পৃথিবী কীভাবে হাতের মুঠোয় এসেছে?-ব্যাখ্যা কর।
ইন্টারনেটকে বিশ্বগ্রামের মেরুদন্ড বলা হয় কেন?-ব্যাখ্যা কর।
বিশ্বগ্রাম হচ্ছে এমন একটি পরিবেশ যেখানে পৃথিবীর সকল মানুষ একটি একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যেমে একে অপরকে সেবা প্রদান করে থাকে। বিশ্বগ্রামের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থান করেও প্রত্যেকেই একে অপরের সাথে সহজেই খুব দ্রুত যোগাযোগ করতে পারে। এই যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল কানেক্টিভিটি বা ইন্টেরনেট। কানেক্টিভিটি বা ইন্টেরনেট ব্যতীত সহজেই যোগাযোগ সম্ভব না। তাই ইন্টারনেটকে বিশ্বগ্রামের মেরুদন্ড বলা হয়।
বিশ্বগ্রাম হচ্ছে ইন্টারনেট নির্ভর ব্যবস্থা- ব্যাখ্যা কর।
শিক্ষাক্ষেত্রে অনলাইন লাইব্রেরীর ভূমিকা বুঝিয়ে লিখ।
অনলাইন লাইব্রেরী বলতে এমন সব ওয়েবসাইটকে বুঝায় যেখানে সকল বইয়ের সমাহার থাকে এবং যেখান থেকে একজন ব্যবহারকারী যেকোন সময় যেকোন বই বিনামূল্যে বা টাকার বিনিময়ে পড়তে পারে। ফলে একজন পাঠকের বই পড়ার জন্য নির্দিস্ট কোন স্থানে যেতে হয় না এমনকি টাকাও খরচ করতে হয় না। অনলাইন লাইব্রেরীর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল- একটি বই বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে যেকোন সংখ্যক পাঠক যেকোন সময় একসাথে পড়তে পারে।
“টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা”-বুঝিয়ে লিখ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোন ভৌগলিক ভিন্ন দূরত্বে অবস্থানরত রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক , রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক ইত্যাদির সমন্বয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়াকে টেলিমেডিসিন বলা হয়। এই প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষ এক দেশে অবস্থান করে ভিন্ন কোন ভৌগলিক দুরত্বে অবস্থানরত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা সেবা নিতে পারে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির ফলে বাংলাদেশের নাগরিকেরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। অর্থাৎ টেলিমেডিসিন এক ধরনের সেবা যার সাহায্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে না গিয়েও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের গ্রাম অঞ্চলের রোগীরা ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবহার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিকট হতে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করতে পারে।
“ঘরে বসে ডাক্তারের চিকিৎসা গ্রহণ করা যায়’–ব্যাখ্যা কর।
ই-কমার্স পণ্যের ক্রয়-বিক্রয়কে কিভাবে সহজ করেছে? ব্যাখ্যা কর।
বিশ্বগ্রাম ধারণায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যপক পরিবর্তন হয়েছে। এখন ক্রেতা-বিক্রেতাকে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে কিংবা এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে হয় না। ক্রেতা বা ভোক্তা বাসায় বসে ইন্টারনেট এর সাহায্যে কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইট থেকে পণ্য বা সেবা পছন্দ করে ক্রয় করেতে পারছে এবং অনলাইনে মূল্য পরিশোধ করতে পারছে, যাকে অন-লাইন শপিং বলা হয়। ইলেকট্রনিক কমার্স বা ই-কমার্স একটি বাণিজ্য ক্ষেত্র যেখানে ইন্টারনেট বা অন্য কোন কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় বা লেনদেন হয়ে থাকে। ই-কমার্সের প্রধানতম সুবিধা হল সময় ও ভৌগলিক সীমাবদ্ধতা দূর করে অর্থাৎ ঘরে বসে যেকোন পন্য ক্রয়-বিক্রয় করা যায় এবং ক্রয়-বিক্রয়কৃত পন্যের মূল্য পরিশোধ করা যায়।
“আজকাল ঘরে বসে কেনাকাটা অধিকতর সুবিধাজনক”-ব্যাখ্যা কর।
“ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করা যায়”-ব্যাখ্যা কর।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশ এবং বিদেশে ব্যপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং কর্মসংস্থানের নতুন দার উন্মোচন করেছে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে দেশে বসে বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি না করে, স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হয়। তারপর ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন জব প্ল্যাটফর্মে (upwork.com, fiverr.com, freelancer.com) প্রোজেক্ট ভিত্তিক কাজের আবেদন করে কাজ পাওয়া যায়। এভাবে দেশ বা দেশের বাইরের কোন কোম্পানি বা ব্যক্তির কাজ ঘরে বসেই করা যায় এবং অর্থ উপার্জন করা যায়।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য এখন আর বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই- ব্যাখ্যা কর।
আইসিটি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলের জন্য উপার্জনের ক্ষেত্রে সহজ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে- ব্যাখ্যা কর।
আইসিটি শিক্ষায় শিক্ষিত যেকোন ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে সহজেই উপার্জন করতে পারছে। কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি না করে, স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা অনুযায়ী কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী কাজ করাকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সিং। কোন ব্যক্তি যদি আইসিটি এর বিভিন্ন শাখা যেমন- গ্রাফিক্স, ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি এর যেকোন একটি বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করে। তাহলে ঘরে বসেই ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবে।
বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুঁয়ে দেখা সম্ভব- ব্যাখ্যা কর।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ‘বাস্তবে অবস্থান করেও কল্পনাকে ছুয়ে দেখা সম্ভব’ উক্তিটি যথাযথ। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সমন্বয়ে কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে কোন একটি পরিবেশ বা ঘটনার বাস্তবভিত্তিক বা ত্রিমাত্রিক চিত্রভিত্তিক রুপায়ন হল ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। এই প্রযুক্তিতে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশকে এমনভাবে তৈরি ও উপস্থাপন করা হয়,যা ব্যবহারকারীর কাছে সত্য ও বাস্তব বলে মনে হয়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশে বিশেষ পোশাক পরিধান করে বাস্তবে নয় ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটারের পর্দায় যেমন গাড়ি চালানো অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। ঠিক তেমনি বাস্তবে অবস্থান করে চাঁদে যাওয়ার মত কল্পনাকেও ছুঁয়ে দেখা যায়।
“বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব”-বুঝিয়ে লেখ।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব । হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সমন্বয়ে কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে কোন একটি পরিবেশ বা ঘটনার বাস্তবভিত্তিক বা ত্রিমাত্রিক চিত্রভিত্তিক রুপায়ন হল ভার্চুয়াল রিয়েলিটি। এই প্রযুক্তিতে কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম পরিবেশকে এমনভাবে তৈরি ও উপস্থাপন করা হয়,যা ব্যবহারকারীর কাছে সত্য ও বাস্তব বলে মনে হয়। এক্ষেত্রে কম্পিউটার সিম্যুলেশনের মাধ্যমে ড্রাইভিং প্রশিক্ষনের জন্য চালককে একটি নির্দিষ্ট আসনে বসতে হয়। চালকের মাথায় পরিহিত হেড মাউন্টেড ডিসপ্লের সাহায্যে কম্পিউটার দ্বারা সৃষ্ট যানবাহনের অভ্যন্তরীন অংশ এবং আশপাশের রাস্তায় পরিবেশের একটি মডেল দেখানো হয়। এর সঙ্গে যুক্ত থাকে একটি হেড ট্র্যাকিং সিস্টেম। ফলে ব্যবহারকারী যানবাহনের অভ্যন্তরীন ও বাহ্যিক অংশের ৩৬০ ডিগ্রী দর্শন লাভ করেন এবং কম্পিউটার সৃষ্ট পরিবেশে মগ্ন থেকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ লাভ করেন। অতএব, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদে প্রাক ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ সম্ভব।
“যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে”-ব্যাখ্যা কর।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করার অন্যতম যন্ত্র হচ্ছে রোবট। রোবট হলো এক ধরনের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা। যা কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা ইলেকট্রনিক সার্কিট কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় বা আধা-স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বা যন্ত্রমানব যা মানুষের মতো অনেক দুঃসাধ্য কাজ করতে পারে। মানুষ যেমন চিন্তাভাবনা করে স্বয়ংক্রিয় ভাবে কাজ করতে পারে ঠিক তেমনি রোবটও চিন্তাভাবনা করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে। তাই বলা যায়- যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে।
ঝুকিপুর্ণ কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যাখ্যা কর।
ঝুকিপুর্ণ কাজে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি হলো রোবট। রোবট হচ্ছে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত এক ধরণের ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল যান্ত্রিক ব্যবস্থা যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা কোন ব্যক্তির নির্দেশে কাজ করতে পারে। এটি তৈরী হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নীতিতে। যা মানুষ কিংবা বিভিন্ন বুদ্ধিমান প্রাণীর মতো কাজ করতে পারে। রোবট মূলত সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত যা সুনির্দিষ্ট কোন কাজ দ্রুত ও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে পারে। রোবট বিরতিহীনভাবে কাজ করতে পারে এবং রোবট যেকোনো ঝুঁকিপূর্ণ বা অস্বাস্থ্যকর স্থানে কাজ করতে পারে।
“ঝুকিপূর্ণ কাজে যন্ত্র শ্রমিক ব্যবহার সুবিধাজনক”-ব্যাখ্যা কর।
রোবটে কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তার ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
“কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কম্পিউটার বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা”-বুঝিয়ে লেখ।
চিকিৎসা সেবায় আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স কীভাবে সম্পর্কিত? বুঝিয়ে লিখ।
“কম্পিউটার একটি প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র”-বুঝিয়ে লেখ।
“ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে রক্তপাতহীন অপারেশন সম্ভব”-বুঝিয়ে লেখ।
ক্রায়োসার্জারি হল এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে অত্যাধিক শীতল তাপমাত্রা প্রয়োগ করে শরীরের অস্বাভাবিক বা রোগাক্রান্ত কোষগুলোকে ধ্বংস করার মাধ্যমে ত্বকের বিভিন্ন ক্যান্সার সহ আরো নানান জটিল রোগের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। গ্রিক শব্দ ‘ক্রায়ো’ অর্থ বরফের মতো ঠাণ্ডা এবং ‘সার্জারি’ অর্থ হাতের কাজ। ক্রায়োসার্জারিকে অনেক সময় ক্রায়োথেরাপিও বলা হয়। এই পদ্ধতিতে ক্রায়োপ্রোব দিয়ে আক্রান্ত টিস্যুতে তরল নাইট্রোজেন বা আর্গন গ্যাস সহ অন্যান্য ক্রায়োজনিক এজেন্ট পৃথক পৃথক ভাবে প্রবেশ করিয়ে কোষের তাপমাত্রায় -৪১০ আনা হয়। ফলে আক্রান্ত টিস্যু জমে বরফ খন্ডে পরিণত হলে এতে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে টিস্যুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপর পুনরায় ঐ স্থানে ক্রায়োপ্রোবের সাহায্যে হিলিয়াম গ্যাস প্রবেশ করিয়ে তাপমাত্রাকে ২০০ থেকে ৩০০ পর্যন্ত উঠিয়ে টিস্যুটিকে গলিয়ে ধ্বংস করা হয়। ক্রায়োসার্জারির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা হল এতে কাটা-ছেঁড়া করা তথা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। এজন্যই ক্রায়োসার্জারির মাধ্যমে রক্তপাতহীন আপারেশন সম্ভব।
রক্তক্ষরণ ছাড়াই অপারেশন সম্ভব – ব্যাখ্যা কর।
নিম্ন তাপমাত্রায় চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যাখ্যা কর।
‘শীতলীকরণ প্রক্রিয়ায় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব’–ব্যাখ্যা কর।
ব্যক্তি শনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
ব্যক্তি সনাক্তকরণের প্রযুক্তিটি হলো বায়োমেট্রিক্স। বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যার দ্বারা কোন ব্যক্তির গঠনগত এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা সনাক্ত করা হয়। এক্ষেত্রে ব্যক্তির গঠনগত এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্য বায়োমেট্রিক্স যন্ত্রের সাহায্যে ইনপুট নিয়ে একটি কেন্দ্রীয় সার্ভার কম্পিউটারে জমা রাখা হয় যা পরবর্তিতে দেওয়া ইনপুটের সাথে মিলিয়ে সনাক্ত করে থাকে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বা অফিসের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের উপস্থিতির হিসাব রাখা হয়। এছাড়া বিভিন্ন যন্ত্র বা সিস্টেমে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণের কৌশল হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
বায়োমেট্রিক্সএকটি আচরণীক বৈশিষ্ট্য নির্ভর প্রযুক্তি- ব্যাখ্যা কর।
বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যার দ্বারা কোন ব্যক্তির গঠনগত এবং আচরণগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা সনাক্ত করা হয়। এই প্রযুক্তিতে আচরণগত বৈশিষ্ট্য যেমন- ভয়েস রিকগনিশন, সিগনেচার ভেরিফিকেশন ও টাইপিং কীস্ট্রোক এর উপর ভিত্তি করে একজন ব্যক্তিকে অদ্বিতীয়ভাবে চিহ্নিত বা সনাক্ত করা যায়। তাই বলা যায়- বায়োমেট্রিক্স একটি আচরণীক বৈশিষ্ট্য নির্ভর প্রযুক্তি।
বায়োমেট্রিক্সটেকনোলজি ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কী কী?
অফিসের নিরাপত্তার জন্য বায়োমেট্রিক্সের ব্যবহার সুবিধাজনক-ব্যাখ্যা কর।
বায়োইনফরমেটিক্সে ব্যবহৃত ডেটা কী? ব্যাখ্যা কর।
বায়োইনফরমেটিক্স হলো বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যেখানে কম্পিউটার প্রযুক্তি, ইনফরমেশন থিওরি এবং গাণিতিক জ্ঞানকে ব্যবহার করে বায়োলজিক্যাল ডেটা এনালাইসিস করা হয়। বায়োইনফরমেটিক্সে যে সব ডেটা ব্যবহৃত হয় তা হলো ডিএনএ, জিন, এমিনো অ্যাসিড এবং নিউক্লিক অ্যাসিড ইত্যাদি।
বায়োইনফরমেটিক্স এর সুবিধা ও অসুবিধা লিখ।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কৃষিক্ষেত্রে কী প্রভাব রাখে?ব্যাখ্যা কর।
কোন জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী DNA খন্ড পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-কে জেনেটিক মডিফিকেশনও বলা হয়। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে কৃষিতে উৎপাদনের লক্ষ্য চারটিঃ
·
১। শস্যের গুণাগুণ মান বৃদ্ধি করা
·
২। শস্য থেকে সম্পূর্ণ নতুন উপাদান উৎপাদন করা
·
৩। পরিবেশের বিভিন্ন ধরণের হুমকি থেকে শস্যকে রক্ষা করা
·
৪। শস্যের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো
কোন প্রযুক্তি ব্যবহারে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
পাটের জীবন রহস্য উন্মোচিত হয়েছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে। কোন জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী DNA খন্ড পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-কে জেনেটিক মডিফিকেশনও বলা হয়। এই প্রযুক্তির সাহায্যে শস্যের গুনাগুণ বৃদ্ধি করা যায়। নতুন জাত তৈরি করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করা যায়।
তথ্য প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রবণতায় ডায়াবেটিস রোগীরা উপকৃত হচ্ছে- ব্যাখ্যা কর।
কোন জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জিন বহনকারী DNA খন্ড পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রিকম্বিনেন্ট DNA প্রযুক্তির মাধ্যমে মানবদেহের জন্য ইনসুলিন তৈরি করা হয় যা ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগী শরীরে গ্রহণ করে বেঁচে থাকে। তাই বলা যায়- তথ্য প্রযুক্তির সাম্প্রতিক প্রবণতায় জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রযুক্তি ব্যবহারে ডায়াবেটিস রোগীরা উপকৃত হচ্ছে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কী ভাবে মানুষকে সহায়ক? ব্যাখ্যা কর।
আণবিক পর্যায়ের গবেষণার প্রযুক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
আণবিক পর্যায়ের গবেষণা প্রযুক্তিটি হচ্ছে ন্যানোটেকনোলজি। পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতিক্ষুদ্র ডিভাইস তৈরি করার জন্য ধাতব বস্তুকে সুনিপুণভাবে কাজে লাগানোর প্রযুক্তিকে ন্যানোটেকনোলজি বলে। অর্থাৎ ন্যানো প্রযুক্তির সাহায্যে ন্যানোমিটার স্কেলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উপাদান দিয়ে কাঙ্খিত কোনো বস্তুকে এতটাই ক্ষুদ্র করে তৈরি করা যায় যে, এর থেকে আর ক্ষুদ্র করা সম্ভব নয়। ন্যানোটেকনোলজির ফলে সকল যন্ত্রের আকার ছোট হয়েছে, উৎপাদন ব্যয়, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে। ফলে মডার্ন লাইফকে সাশ্রয়ী ও গতিশীল করছে। এছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স শক্তি উৎপাদন সহ বহুক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারছে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তি ব্যাখ্যা কর।
ন্যানোটেকনোলজি মডার্ন লাইফকে করেছে সাশ্রয়ী ও গতিশীল-ব্যাখ্যা কর।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিকতা ব্যাখ্যা কর।
নৈতিকতা হচ্ছে মানুষের কাজ কর্ম ও আচার-ব্যবহারের এমন একটি মূলনীতি যার উপর ভিত্তি করে মানুষ একটি কাজের ভালো বা মন্দের দিক বিচার বিশ্লেষণ করতে পারে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি ব্যপকভাবে নেতিবাচক প্রভাবও বিস্তার করা শুরু করেছে। এর ফলে হ্যাকিং, স্প্যামিং, সাইবারক্রাইম এর মত অপরাধ কর্মকান্ড সংঘঠিত হছে যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের নৈতিকতা বিরোধী। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেতে সবার সচেতন থাকতে হবে যাতে কারো দ্বারা অন্য ব্যক্তির ক্ষতি সাধন না হয় এবং পাশাপাশি সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি না হুয়।
তথ্য প্রযুক্তিতে সামাজিক অবক্ষয়ের ঝুঁকি রয়েছে-ব্যাখ্যা কর।
“হ্যাকিং নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড”– ব্যাখ্যা কর।
সাধারণত হ্যাকিং একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কেউ অনুমতি ব্যতীত কোন কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে এবং সিস্টেমের ক্ষতিসাধন, ডেটা চুরি, ডেটা বিকৃতিসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে থাকে। যেহেতু অনুমতি ব্যতীত অন্যের সিস্টেমে প্রবেশ, ডেটা চুরি এগুলো অপরাধমূলক কর্মকান্ড এবং নৈতিকতা বিরোধী তাই বলা যায় হ্যাকিং একটি নৈতিকতা বিরোধী কর্মকান্ড।
“সাইবার ক্রাইম” প্রযুক্তির জন্য হুমকি-ব্যাখ্যা কর।
إرسال تعليق