গত ১৫ নভেম্বর বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় সাত বছরের আলিনা ইসলাম আয়াতকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘাতক আবির আলী (১৯)। পর শিশুর নিথর দেহটিকে ৬ টুকরো করে ফেলে দেয়া হয় নদীতে।
Aiyat |
গতকাল ঘাতক আবিরকে পিবিআই গ্রেফতারের পর সে শিশু আয়াতকে হত্যার কথা স্বিকার করেছে বলে জানা গেছে৷ আকমল আলী সড়জের পকেট গেইট নামক স্থানে শিশু আয়াতের দেহের টুকরোর সন্ধান পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত অপরাধ গুলোর বর্বরতার ধরণ আরবের সেই জাহেলি যুগকেও হার মানাচ্ছে। সেই অন্ধকার যুগে কন্যা শিশুদের হত্যা করা হলেও এভাবে টুকরো টুকরো করা হতো কিনা সন্দেহ৷ উদ্বেগ জনক ভাবে এসব ঘটনায় রক্তের সম্পর্কের লোকজন থেকে শুরু করে নিকট-দূরের আত্মিয়, বন্ধু কিংবা পূর্ব পরিচিতরা জটিত থাকার তথ্য মিলছে৷ এখন কে আপন আর কে পর এসব বাছবিচার করাটাও কঠিন হয়ে গেছে।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রো সূত্রে জানা গেছে, ঘাতক আবির আলী ইতিপূর্বে শিশু আয়াতের দাদা’র বাড়িতে ভাড়াটিয়া ছিল৷ একটি পোষাক কারখানায় কাজ করা আবির গত ১৫ নভেম্বর আয়াতকে অপহরণের চেষ্টা চালালে সে চিৎকার করে উঠে৷ সে সময় আবির শ্বাসরোধ করে আয়াতকে হত্যা করে৷ এরপর শিশুটির নিথর দেহ ঘাতক আবির তার বাসায় নিয়ে গিয়ে ৬ টুকরো করে দুটি ব্যাগে ভরে রাখে৷ পরদিন ১৬ নভেম্বর সেই দেহের টুকরো গুলো বেড়িবাধ সংলগ্ন নদিতে ফেলে দেয়।
إرسال تعليق