ads


 মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী

একবার চিন হতে ফিরতি পথে পাকিস্তানের নেমে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে মেয়র এক নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছিলেন । ভাসানীর মাথায় তালের টুপি ও পরনে লুঙ্গি স্টেজে উঠলেন ভাষণ দিতে । ভাসানীকে দেখে দর্শকদের মধ্যে গুনগুন মন্তব্য তারা বলে উঠলেন এত মিসকিন হে। কুরআন তেলাওয়াত দিয়ে মাওলানার বক্তব্য শুরু হতে শ্রোতাদের কন্ঠে মন্তব্য ভেসে এলো এতো মাওলানা হে । ভাসানীর রাজনৈতিক বক্তব্য শুরু হলো বক্তব্য শুনে ওই একই শ্রোতারা বলে উঠলো আরে বাহ এতো পলিটিশিয়ান হে । ভাসানী যখন বিশ্ব পরিস্থিতি ও বিশ্ব মোড়লদের শাসন পিরন নিপিরণ নিয়ে কথা বলতে শুরু করলেন তখন ওই একই দর্শকেরা বলে উঠলেন হায় আল্লাহ এত স্টেটমেন্ট হে ।

মজলুম জননেতা উপমহাদেশের রাজনীতিবিদ মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী । ১৯৫৭ সালে কাগমারী সম্মেলনে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী পশ্চিম পাকিস্তানের দূর শাসনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ার করে বলেছেন পূর্ব পাকিস্তানের এই ন্যায় সঙ্গত অধিকার ফিরিয়ে দাও নতুবা ওয়ালাইকুম আসসালাম । সভা আরম্ভ হওয়ার সাথে সাথে 144 ধারা জারি করা হলো পুলিশ এসে আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে একটা কাগজ ধরিয়ে দিলো তিনি বললেন মানিনা 144 ধারা আমি বক্তৃতা করবো । মাওলানা সাহেব দাঁড়িয়ে বললেন 144 ধারা জারি করা হয়েছে আমাদের সভা করতে দিবে না আমি বক্তৃতা করতে চাই না তবে আসুন আমরা মোনাজাত করি আল্লাহু আমিন:- মাওলানা সাহেব মোনাজাত শুরু করলেন আধঘন্টা ধরে চিৎকার করে মোনাজাত করলেন কিন্তু কিছুই বাদ রাখলেন না যা বলার সবাই বলে ফেললেন পুলিশ অফিসার ও সিপাহীরা মোনাজাত করতে লাগল । আধঘণ্টার মোনাজাতে বক্তব্য শেষ করলেন মাওলানা সাহেব । পুলিশ ও মুসলিম লীগ ওয়ালারা পুরো বীয়াকুব হয়ে গেল ।

মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সে সব সময় লুঙ্গি পড়তেন এমনটা নয় তাকে একজন বলেছিল তোমার দেশের কৃষক যেভাবে থাকে তুমি সেভাবে থাকো তারপর থেকে সে কখনো আর পায়জামা পড়েননি । সবসময় লুঙ্গি পড়ে থাকতে।


 মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী (১২ ডিসেম্বর ১৮৮০ - ১৭ নভেম্বর ১৯৭৬ - যিনি মওলানা ভাসানী নামেও পরিচিত) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক, যিনি জীবদ্দশায় ১৯৪৭-এ সৃষ্ট পাকিস্তান ও ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

#Bangladesh #কলেটর_সালমান

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন

Ads